লস অ্যাঞ্জেলেস (ক্যালিফোর্নিয়া থেকে): লস অ্যাঞ্জেলেসের বাংলাদেশি অধ্যুষিত লিটল বাংলাদেশ এলাকায় একটি বড় বিলবোর্ড চোখে পড়লো। তাতে লেখা বয়স্কদের চিকিৎসার খরচ বাড়িও না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো এ বিষয়েও ৮ নভেম্বর ভোট হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার ব্যালটে উল্লেখ থাকবে বিষয়টি।
আগেও দু’য়েকটি রিপোর্টে জানিয়েছি ভোট কেবলই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নয়, লোয়ার ব্যালটে ভোটারদের আরও ভোট দিতে হয়, কংগ্রেসম্যান কিংবা উইম্যান নির্বাচনের জন্য। কোথাও কোথাও নির্বাচিত করা হচ্ছে সিনেটর। কেথাও গভর্নর। কাউন্সিলম্যান কিংবা উইম্যানসহ আরও কিছু পদে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি।
কিন্তু এই ভোট কেবল জনপ্রতিনিধি নির্বাচনেরও নয়। বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন কাউন্টিতে রয়েছে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু, যা প্রতি চার বছর পরে এই সাধারণ নির্বাচনের দিনে তোলা হয় ভোটিং ব্যালটে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত হয়, যার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য কিংবা কাউন্টির কাজ চলে। যেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে সাধারণের ওপর প্রভাব পরে সেগুলোই এই ভোটিং প্রক্রিয়ায় ফেলা হয়।
আসুন পাঠককে ক্যালিফোর্নিয়ার ভোট ব্যালটটি ব্যবচ্ছেদ করে জানিয়ে দেই এবছর এই ব্যালটে এমন কি কি বিষয় রয়েছে। দেখা গেছে, এই ব্যালটে প্রস্তাব ৫১ হিসেবে এসেছে স্কুলে সুযোগ-সুবিধা বিষয়ক বন্ড চালু প্রসঙ্গ। এতে ক্যালিফোর্নিয়া বন্ডের মাধ্যমে ৯ বিলিয়ন ডলার ধার করবে। যে অর্থ কে-১২ পাবলিক স্কুল ও কমিউনিটি কলেজগুলোতে যাবে। যা দিয়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ প্রকল্প সম্পন্ন করা হবে।
ব্যালটে বলে দেওয়া হয়েছে, কেন স্কুলগুলো সংস্কার প্রয়োজন। যার অন্যতম সুফল হিসাবে দেখানো হয়েছে এতে শিক্ষার মান বাড়বে, ছাত্রদের পড়ার সুযোগটাও বাড়বে। এই বন্ডগুলোর নিয়ন্ত্রণ কমিউনিটির হাতে থাকবে, রাজ্যের নয়। তবে যে অর্থ ঋণ করা হবে তা রাজ্য সরকারের ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। ভোটাররা এই প্রস্তাবে হ্যাঁ কিংবা না ভোট দেবেন।
প্রস্তাব ৫২র আওতায় ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাইভেট হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসা ফি আদায় সংক্রান্ত। মেডি-ক্যাল নামের এই প্রস্তাবে নিম্নআয়ের ক্যালিফোর্নিয়ানদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যে অর্থ প্রাইভেট হাসপাতালগুলো দেবে। এতে নিম্নআয়ের মানুষগুলোর স্থায়ী উন্নততর চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। যুক্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে এখন হসপিটাল কর্পোরেশনগুলো বেশি অর্থ পায় আর নিম্নআয়ের মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। হ্যাঁ ভোট পড়লে পাস হয়ে যাবে মেডি-ক্যাল।
প্রস্তাব ৫৩তে রাজস্ব বন্ডের ওপর জনগণের ভোট। এই বন্ডের অর্থ প্রধান প্রধান নির্মাণ কাজে ব্যয় করা হবে। যেসব প্রকল্প বড় মাপের ও ব্যয়বহুল তার জন্য যুক্তরাজ্যের সবগুলো অঙ্গরাজ্যকেই ভোটারদের মত নিয়ে নিতে হয়। পরে জরুরি প্রয়োজনে যাতে অর্থ ব্যয় করা যায় তার জন্যও এই ভোট নিয়ে নেওয়া জরুরি। তবে বিশেষ কমিউনিটির জন্য যেসব প্রকল্প প্রয়োজন সেসব ক্ষেত্রে কাউন্টিগুলোর এমনকি কমিউনিটিভিত্তিক ব্যালটেও নিয়ে নেওয়া হয় জনমত। রাজস্ব বন্ডের এই প্রস্তাব এবার ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে।
প্রস্তাব ৫৪তে রাজ্যের আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়াটিই পাল্টে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। এতে বলা হয়েছে কোন আইন প্রণয়নের বিষয় অ্যাসেম্বলিম্যানদের ভোটাভুটিতে দেওয়ার অন্তত তিনদিন আগে অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে। এছাড়াও রাজ্যের গভর্নর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে কোনো বিল পাসে এর আবশ্যকতা বাতিল করতে পারবেন। আইন প্রণয়নের পাবলিক মিটিংগুলোও সঠিকভাবে নথিভুক্ত করে তা একদিনের মধ্যে অনলাইনে প্রকাশ করতে হবে, আর যে কেউ চাইলে এসব পাবলিক মিটিংয়ের বক্তব্য রেকর্ড করতে পারবেন। আর সেই রেকর্ডকৃত ভিডিও যে কেউ রাজনৈতিক ক্যাম্পেইনে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে- এই প্রস্তাব পাস হলে আইন প্রণেতারা কি করছেন তা ক্যালিফোর্নিয়ানদের নজরদারিতে থাকবে।
প্রস্তাব ৫৫তে উচ্চ আয়ে কর বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। বছরে যাদের আয় আড়াই লাখ ডলারের বেশি তাদের আয়কর বাড়ানো হবে। আর এই অতিরিক্ত আয়কর থেকে আসা অর্থ স্কুল ও কমিউনিটি কলেজগুলোতে যাবে। এছাড়া মেডি-ক্যাল কর্মসূচিতেও দেওয়া হবে কিছু অর্থ। নতুন এই আয়কর হার ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বর্তমান যে আয়কর তা ২০১৮ সাল সময়কালকে ধরে। ফলে এই নতুন আয়কর স্লট নির্ধারণ করে নিচ্ছে রাজ্য। যা ২০১৮ সালের পরে কার্যকর হবে। আর বলা হচ্ছে, যাদের পক্ষে আয়কর বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব কেবল তাদের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্তের প্রয়োগ হবে।
প্রস্তাব ৫৬তে তামাকপণ্যের কর বাড়ানো কথা বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতি প্যাকেটে ২ ডলার করে ট্যাক্স বাড়বে। আর এই ট্যাক্স থেকে পাওয়া অর্থ স্বাস্থ্যসেবা ও তামাক শিক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে। বলা হচ্ছে- কর বাড়লে সাধারণের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা কমবে। আর এর মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে। যার ১৩ শতাংশ ধূমপানে অসুস্থ মানুষের সেবায়ও ব্যয় হবে।
৫৭ নং প্রস্তাবে প্যারোলে মুক্তি, সাজা ও আদালতের বিচার প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এতে সহিংস নয় এমন কারাবন্দিদের তাদের মূল অপরাধের সাজা ভোগ করার পর প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। এছাড়াও কারাগারে সদাচার, লেখাপড়ায় অংশগ্রহণ করলে তাদের সাজা কমানোরও সুযোগ থাকবে। এছাড়াও ১৪ থেকে ১৭ বছরের কিশোর অপরাধীদের বড়দের আদালতে বিচার করা যাবে কি না এ নিয়েও সিদ্ধান্ত হবে। বলা হচ্ছে, এতে কারান্তরে অপরাধীর ভিড় কমবে আর অর্থ সাশ্রয় হবে।
প্রস্তাব ৫৮তে গুরুত্ব পেয়েছে ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিষয়টি। বর্তমান রাজ্য আইনে ইংরেজি যাদের দ্বিতীয় ভাষা তাদের ইংরেজি শেখানো দায়িত্ব স্কুলেরই। নতুন প্রস্তাবে স্কুলগুলোতে একটি দ্বি-ভাষিক কর্মসূচি চালু করা হবে। এ ব্যাপারে স্কুল ডিস্ট্রক্ট ও কাউন্টি অফিসগুলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। এতে ইংরেজি দ্রুত শেখার সুযোগ তৈরি হবে, আর স্কুল ডিস্ট্রিক্টগুলোর হাতে শিক্ষার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। সর্বপরি অভিবাসী পরিবারের সন্তানদের জন্য হবে সর্বোচ্চ উপকারী।
প্রস্তাব ৫৯ এ রাজনৈতিক ব্যয়ের বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়ানদের মত চাওয়া হচ্ছে। ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি রুলে কর্পোরেশন ও ইউনিয়নের তরফে রাজনৈতিক ব্যয়ের সীমা না থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রক্রিয়াটিতে একটি সীমারেখা টানতে চায় ক্যালিফোর্নিয়া। ক্যালিফোর্নিয়া এক্ষেত্রে সিটিজেন ইউনাইটেডের সঙ্গে থাকতে নারাজ। তবে কেউ কেউ মনে করছেন এই প্রস্তাবনা ৫৯ স্রেফ সময় নষ্ট, কারণ এই প্রস্তাবে আইন পাল্টে যাবে না।
প্রস্তাবনা ৬০ এ আনা হয়েছে অদ্ভুত একটি বিষয়। অ্যাডাল্ট ছবিতে কনডম ব্যবহার সংক্রান্ত। এতে বলা হয়েছে এখন থেকে ক্যালিফোর্নিয়ায় কোনও প্রয়োজন প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য ছবি বানালে পুরুষ চরিত্রকে অবশ্যই কনডম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। এটা স্টুডিওতে তৈরি ছবিতে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কিংবা কোনও দম্পতিও যদি এ ধরনের ভিডিও ধারণ করেন তাদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। যৌনতাবাহী রোগ প্রতিরোধেই এই প্রস্তাব আনা হচ্ছে। আর বলা হয়েছে, বিবাহিত দম্পতিও যদি তাদের ভিডিও ধারণে কনডমের ব্যবহার না করেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। আর সে মামলা ক্যালিফোর্নিয়ার সাধারণ নাগরিকদের যে কেউ করতে পারবেন।
প্রস্তাবনা ৬১তে আনা হয়েছে প্রেসক্রিপশন ওষুধের দামের বিষয়ে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে রাজ্য প্রেসক্রিপশন ওষুধে কত অর্থ পরিশোধ করতে পারবে তার একটা সীমা বেধে দেওয়া হবে। এতে যখন তখন ওষুধের দাম বাড়ানো এবং বেশি দাম নেওয়া প্রতিহত করা যাবে। আর এতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ও কমবে। তবে এর প্রতিবাদ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধ ও পেনশনভোগীদের সব ওষুধ রাজ্য থেকে আসবে না, আর তাতে তাদের ওষুধ খরচ বেড়ে যাবে। এমনই একটি বিলবোর্ড রয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের লিটল বাংলাদেশ এলাকায়।
প্রস্তাবনা ৬২তে আনা হয়েছে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের কথা। এটি পাস হলে ক্যালিফোর্নিয়ায় বর্তমানের মৃত্যুদণ্ডের বিধান পাল্টে সর্বোচ্চ অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা কোনও প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হবে। আর বলা হচ্ছে, এই মৃত্যুদণ্ড বন্ধ করা গেলে রাজ্যের প্রতিবছর ১৫০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে।
প্রস্তাবনা ৬৩টিতে বন্দুক ও গুলি বিক্রি সংক্রান্ত। এই প্রস্তাবে বন্দুকের ম্যাগজিন নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ম্যাগজিনে বেশি সংখ্যক বুলেট ভরে নেওয়া সম্ভব আর সেটাই বন্ধ করতেই এই প্রস্তাব। এছাড়াও কারো কাছে অস্ত্র রাখার বর্তমান যে বিধি রয়েছে তা আরও কঠোর করার দাবি জানানো হয়েছে এতে। সহিংস অপরাধ কমাতেই এই উদ্যোগ।
প্রস্তাবনা ৬৪তে বিনোদনদায়ী মারিজুয়ানা ক্যালিফোর্নিয়ায় বৈধ করার প্রস্তাব এসেছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী ২১ বছর কিংবা তার বেশি বয়সের পুরুষ নারী ওষুধ-বহির্ভূত মারিজুয়ানা উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণে বৈধতা পাবেন। তবে উৎপাদক বা খুচরা বিক্রেতার ওপর ট্যাক্স ধার্য করা হবে। আর তা থেকে পাওয়া অর্থ দিয়ে মাদক প্রতিরোধ কাজে তথা সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা হবে।
প্রস্তাবনা ৬৫তে ক্যারিআউট ব্যাগ থেকে অর্থ আদায়ের কথা বলা হচ্ছে। এতে বলা হচ্ছে দোকান থেকে মালামাল কেনার পর তা যে ব্যাগে করে বহন করা হয় তার দাম যায় দোকানের মালিকের ঝুলিতে। কিন্তু সে অর্থ আর দোকানি না পেয়ে যাবে রাজ্য সরকারের তহবিলে। আর তা পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও স্টোরগুলো যাতে এই সওদা-পাতির ব্যাগ থেকে আয়ের ধান্দা করতে না পারে সে কথাও বলে দেওয়া হয়েছে প্রস্তাবে। তবে অনেকেই এ প্রস্তাবেরও বিরোধীতা করেছেন। তারা মনে করছেন এটি বাস্তবসম্মত নয়, রাজ্য সরকারকে বরং প্ল্যাস্টিক ব্যাগ বন্ধের বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রস্তাবনা ৬৬তে মৃত্যুদণ্ড বাতিলের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। আর প্রস্তাবনা ৬৭তেই আনা হয়েছে এমন একটি বিষয় যা পরিবেশ রক্ষায় অতীব জরুরি। তা হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ বন্ধ বিষয়ক। ২০১৪ সালে গৃহীত আইনকেই ঊর্ধ্বে তুলে ধরবে এই প্রস্তাব।
তবে স্টোরগুলোতে রিসাইকেলড পেপার ও ব্যাগ এখন পাওয়া যাচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়লে প্রাকৃতিক পশুসম্পদ সুরক্ষা পাবে। আর পরিবেশ বাঁচবে।
আরও পড়ুন
** স্বস্তির জন্য এসে অস্বস্তিতে, এলএতে আগাম ভোটে দীর্ঘ লাইন
** 'হিলারিই প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন...দ্যাটস ইট'
** ডালাসের চামেলীতে চায়ের কাপে ভোটের ঝড়
** আর্লি ভোটের শেষ দিন টেক্সাসে, আমি ভোট দিয়েছি, তুমিও দাও
** নির্বাচনী ভীতি সৃষ্টি করছে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন
** জয়ের পথেই হাঁটছেন হিলারি, বললেন আজিজ আহমদ
** রশিদ মালিক হবে একটি পরিবর্তনের নাম, প্রত্যাশা নিউইয়র্কে
** কংগ্রেসম্যান প্রার্থী রশিদ মালিকের জন্য তহবিল সংগ্রহ নিউইয়র্কে
** সব সম্পাদক এক মঞ্চে, হিলারির পক্ষে অনন্য বাংলাদেশি আয়োজন
**ভূত নেমেছে শহরে! বয়েছে ক্যান্ডির ঝড়
** কোমে বোমায়ও হিলারি অটল, অপ্রতিরোধ্য
** শ্বেতভবনের বাসিন্দা কে হবেন? কে যোগ্য!
** হুমাকে নিয়ে সংকটে হিলারি!
** হিলারিকে ভোট দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটনের বাংলাদেশি কমিউনিটি
** নির্বাচনী জরিপের চড়াই-উতরাই, কনফিউজড অনেকেই
** নির্বাচনী সহিংসতার শঙ্কা প্রকট হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে
** আর্লি ভোটে আর্লি তুষারপাত, মূল ভোটে কি হবে!
** মুসলিম ডেমোক্র্যাটরা সক্রিয়, রয়েছেন বাংলাদেশিরাও
** বোস্টনে ভোট ক্যাম্পেইনের এক উপভোগ্য সন্ধ্যা
** বোস্টনে মিললো ভোটের বিলবোর্ড
** হিলারির জন্য প্রচারে আমেরিকান মুসলিমদের র্যালি রোববার
** জ্যাকসন হাইটসের আড্ডায় ট্রাম্প আতঙ্ক
** বহু জাতির দেশে বহুমুখী ভোট, বহু তার সমীকরণ
** আবহাওয়া ঠাণ্ডা, ভোটের হাওয়া কী গরম!
** অদ্ভুত এক নির্বাচনের দেশে!
** প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাভার করতে বাংলানিউজ’র মেনন যুক্তরাষ্ট্রে
বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৬
জেডএস/এমএমকে